যারা ঢাকার অতি কাছাকাছি রাইড দিতে চান কিন্তু মনমতো রাস্তা খুঁজে পান না,তাদের জন্য সত্যিই পোয়াবারো হতে পারে এরকম একটা রাস্তা। আমি পুরো ঢাকা এমনকি তার আশেপাশের এলাকাতেও বহু ঢুঁ মেরেছি,কিন্তু এরকম দারুণ আবিস্কার খুব কম পেয়েছি।

গ্রাম আর সবুজের অনুভূতি পেতে যেতে চেয়েছিলাম ঠুলঠুলিয়া গ্রামে। তো পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রামে গেলাম,বাতাসের ছোঁয়া পেতে পাশের বালু-নদীতেও গেলাম। কিন্তু মন ভরলোনা। তাই সামনে বাড়তে বাড়তেই হটাত করে সুতোর মত লম্বা এক পিচ ঢালা রাস্তায় উঠে গেলাম। আর থামার কোন মানেই হয়না। এরকম শান্তির রাস্তা বহুদিন পাইনি।

রাস্তা টা হচ্ছে রূপগঞ্জে। আমি গিয়েছিলাম ধানমণ্ডি থেকে রামপুরা-বনশ্রী হয়ে প্রথমে ঠুলঠুলিয়া গ্রামে,তারপর বালুনদীর পাশ দিয়ে রূপগঞ্জ দক্ষিনপাড়া,তারপর পূর্বপাড়া। রাস্তাটা সাপের মত এঁকেবেঁকে পাড়াগাঁও হয়ে ভূলতা-গাউছিয়া পেড়িয়ে গিয়েছে।

আপনি যেখান দিয়েই প্রবেশ করুন,রাস্তাটা খাসা। দুই পাশে সীমাহীন প্রান্তর,চাষাবাদের জমি। হুরহুরে বাতাস,পাশেই পড়বে শীতলক্ষ্যা নদী। কয়েকটা সাবরোড নদীর পাশ ঘেষে গিয়েছে। অভাবনীয় সৌন্দর্য। একা কিংবা দল বেঁধে সাইক্লিং করতে যেতে পারেন।

আরেকভাবেও যেতে পারেন। সোজা রামপুরা-বনশ্রী স্টাফ কোয়ার্টার এর দিকে আসতে থাকবেন,স্টাফ কোয়ার্টার এর একটু আগেই বামে "মুন ফিলিং স্টেশন" পরবে,এখানে বায়ে মোড় নেবেন। তারপর দশ মিনিট চালালে ব্রিজ পাবেন। ব্রিজ থেকে নেমে বা দিকে (পশ্চিমগাঁও) ঢুকে যাবেন। সেখান থেকেই এই রাস্তা শুরু।
প্রতি বাঁকে বাঁকে রোড সাইন দেওয়া,আচমকা দারুণ দারুণ মোড়,৬০ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেল সহজেই নেয়া যায়। এমনকি সাবরোডগুলোও পাকা করা। মনের খায়েশমত গতি উঠাতে পারবেন। আর যারা রোডবাইক কিনে রাস্তার অভাবে হাহাকার করেন তাদের জন্য এটা হতে পারে স্বর্গীয় এক সুখ। তা ছাড়া বাইক রাইডিং-এও যেতে পারেন। গাড়ি নিয়েও যেতে পারেন,ভোর কিংবা বিকেলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

আমি একটা কথা মনেপ্রানে ধারন করি-
"It's not about the destination,It's about the journey."


No comments:

Post a Comment

পোস্টটির দর্শক সংখ্যা-

ফিচার পোস্ট

দারুণ তিনটি টিনেজ মুভি

কৈশোরেতে প্রেমে না পড়লে বুড়ো বয়সে আপসোস করতে হয়। বয়ঃসন্ধির নতুন জগৎ,নতুন অনুভূতি,ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো পরবর্তীতে দারুণ স্মৃতি হয়ে আজীবন রয়ে যায়...

সর্বাধিক পঠিত