গ্রাম আর সবুজের অনুভূতি পেতে যেতে চেয়েছিলাম ঠুলঠুলিয়া গ্রামে। তো
পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রামে গেলাম,বাতাসের ছোঁয়া পেতে পাশের বালু-নদীতেও গেলাম।
কিন্তু মন ভরলোনা। তাই সামনে বাড়তে বাড়তেই হটাত করে সুতোর মত লম্বা এক পিচ ঢালা
রাস্তায় উঠে গেলাম। আর থামার কোন মানেই হয়না। এরকম শান্তির রাস্তা বহুদিন পাইনি।
রাস্তা টা হচ্ছে রূপগঞ্জে। আমি গিয়েছিলাম ধানমণ্ডি থেকে
রামপুরা-বনশ্রী হয়ে প্রথমে ঠুলঠুলিয়া গ্রামে,তারপর বালুনদীর পাশ
দিয়ে রূপগঞ্জ দক্ষিনপাড়া,তারপর পূর্বপাড়া। রাস্তাটা সাপের মত এঁকেবেঁকে
পাড়াগাঁও হয়ে ভূলতা-গাউছিয়া পেড়িয়ে গিয়েছে।
আপনি যেখান দিয়েই প্রবেশ করুন,রাস্তাটা খাসা। দুই
পাশে সীমাহীন প্রান্তর,চাষাবাদের জমি। হুরহুরে বাতাস,পাশেই পড়বে
শীতলক্ষ্যা নদী। কয়েকটা সাবরোড নদীর পাশ ঘেষে গিয়েছে। অভাবনীয় সৌন্দর্য। একা কিংবা
দল বেঁধে সাইক্লিং করতে যেতে পারেন।
আরেকভাবেও যেতে পারেন। সোজা রামপুরা-বনশ্রী স্টাফ কোয়ার্টার এর দিকে
আসতে থাকবেন,স্টাফ কোয়ার্টার এর একটু আগেই বামে "মুন ফিলিং স্টেশন" পরবে,এখানে বায়ে মোড়
নেবেন। তারপর দশ মিনিট চালালে ব্রিজ পাবেন। ব্রিজ থেকে নেমে বা দিকে (পশ্চিমগাঁও)
ঢুকে যাবেন। সেখান থেকেই এই রাস্তা শুরু।
আমি একটা কথা মনেপ্রানে ধারন করি-
"It's not about the destination,It's about the
journey."
No comments:
Post a Comment