
মিসির আলি ফোন দিয়েছেন।
- মুয়িদ,তোমার জন্য একটা জিনিস আছে।
- কি সেটা,স্যার?
- একটা ইউনিক ব্যাপার। এই প্লটের উপরই দারুণ গল্প লিখতে পারবে। শুনবে?
কাহিনীর সংক্ষিপ্ত রূপ শুনলাম। খাসা আইডিয়া। লেখার আগে গল্পের নামও ঠিক করে ফেলেছি,"প্রত্যাবর্তন।" মিসির আলি স্যার কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন রাখলাম। কিছুক্ষণ বাদে আবার নিজেই ফোন দিলাম।
- স্যার,আপনি কি জানেন আমি কোন কলেজ থেকে ইন্টার পাশ করেছি?
- নাহ,জানার তো কথা না।
- হাজী মিছির আলি কলেজ।
- ভালো। কিন্তু এটা আমার নামে তো নয়। আমি হজ্জ্ব করিনি,তাই হাজীও নই।
- তা ঠিক স্যার,আর আপনার নামের মধ্যে "স" আছে। আমার কলেজের নামের মধ্যে "ছ" দেওয়া।
- মুয়িদ,ঈদের ছুটি হয়নি?
- হয়েছে। বাসায়ই যাচ্ছি,কুরবানীর ঈদ। গরু-টরু কিনতে হবে। আপনি গরু কিনেছেন স্যার?
- আমি একা মানুষ,আত্মীয় তেমন নেই। কুরবানীর প্রয়োজনও হয় না।
- স্যার,আমার সাথে চলেন। কয়দিন থাকবেন আমার সাথে।
- কি করবো গিয়ে?
- আপনার রহস্যভরা গল্প বলবেন আর গরুর কালাভুনা খাবেন।
- আমি খাওয়াদাওয়ায় আগ্রহী নই।
- আমি যথেষ্ঠ আগ্রহী। চলুন তো।
- ঠিকাছে,এখন কোনো কাজও করিনা। বেকার সময় যাচ্ছে। চলো তাহলে।
অতঃপর,স্যারকে ব্যাগে পুরে রওনা দিলাম বাসার দিকে। বারোদিন পেরিয়ে গেছে,আমাকেও মিসির আলির বারোটা উপন্যাস বলা হয়ে গেছে।
এখন ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। মিসির আলি স্যারকেও ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেছি। ফিরে যেতে যেতে হয়তো টুকটাক কথা হবে।
স্যার যেখানে চান,নামিয়ে দেবো। নাও দিতে পারি। আজ যা রোদ পড়েছে..!!
No comments:
Post a Comment